রাশিয়াকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সোমবার রাতে ইউক্রেনের মধ্যাঞ্চলীয় শহর ক্রেমেনচুকের একটি জনবহুল শপিংমলে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এ মন্তব্য করেন তিনি। ক্রেমেনচুকের ওই শপিংমলে সোমবার রাশিয়ার চালানো হামলায় ১৬ জন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। রাশিয়ার হামলার জবাবে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের ক্রেমেনচুকের ওই শপিংমলে রাশিয়ার হামলা ‘ইউরোপীয় ইতিহাসে সবচেয়ে বিদ্বেষপূর্ণ সন্ত্রাসী হামলার একটি’।
তিনি আরও বলেন, ‘সম্পূর্ণ উন্মাদ সন্ত্রাসীরা, যাদের পৃথিবীতে কোনো স্থান থাকা উচিত নয়; তারাই এমন একটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করতে পারে।’ তার ভাষায়, আক্রমণটি ‘অলক্ষ্যে’ চালানো হয়নি; বরং তা ছিল ‘পরিকল্পিত আঘাত’।
ক্রেমেনচুক শহরে একটি জনবহুল শপিংমলে রুশ বাহিনীর ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করে। হামলার সময় ওই শপিংমলটিতে এক হাজারেরও বেশি মানুষ ছিলেন। প্রাথমিকভাবে হতাহতের তথ্য জানা না গেলেও পরে জানানো হয়, রুশ এই হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত এবং ৪০ জন আহত হয়েছেন।
তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পায়েছে। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, শপিংমলে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ জনে। মূলত শপিংমলের মতো জায়গায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও এর জেরে হওয়া হতাহতের ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন জেলেনস্কি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়াকে ‘সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষক’ হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। মূলত গত শুক্রবার মার্কিন সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটিতে এ ধরনের একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
জেলেনস্কি বলেন, ‘রাশিয়ান রাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। এটিই সত্য ও বাস্তবতা, এটিকে আইনিভাবেও বৈধতা দিতে হবে।’
এদিকে ইউক্রেনের জরুরি পরিষেবার প্রধান বলেন, ক্রেমেনচুক শহরের শপিংমলে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ জনে। এ ঘটনায় আরও ৫৯ জন আহত হয়েছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।